আত্মমর্যাদা লাভের সহজ ৪ আমল
আত্মমর্যাদা মানুষকে সৎ হতে এবং সৎপথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে-
তাকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহায্য করে। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আত্মমর্যাদা ঈমানের অংশ আর আচরণে উগ্রতা কপটতার লক্ষণ।’ (সুনানে বায়হাকিঃ ১০/২২)
মুমিনের আত্মমর্যাদার বিকাশ ঘটে আল্লাহর আনুগত্য ও সত্জীবন যাপনের মাধ্যমে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে পরিচ্ছন্ন জীবন কাটানোর মাধ্যমে। এই পরিচ্ছন্ন জীবনের অংশ হিসেবে ইসলামী শরিয়ত কিছু বিধান প্রণয়ন করেছে। যেমন-
# নারীর পর্দাঃ মানবসভ্যতার সূচনা থেকে নারীর সম্মান ও সম্ভ্রমকে তার পরিবার ও গোত্র নিজের সম্মান হিসেবে গণ্য করে। বিশেষত পুরুষের জন্য তার স্ত্রীর সম্মান ও সম্ভ্রম আত্মসম্মানের বিষয়। তাই ইসলাম নারীর সুরক্ষার জন্য পর্দার বিধান ফরজ করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা (মুমিন নারী) যেন সাধারণত প্রকাশ পায় এমন ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।’ (সুরা নুর, আয়াতঃ ৩১)
# আত্মশুদ্ধিঃ ব্যক্তিত্বের পূর্ণতা ও আত্মমর্যাদা বোধ লাভের পূর্বশর্ত আত্মা পরিশুদ্ধ করা। কেননা লোভ-লালসা, অহংকার, ঘৃণা, হিংসা, ক্রোধ ইত্যাদি মানবীয় রিপু মানুষকে আত্মমর্যাদার পরিপন্থী ও পাপ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সফল যে আত্মা পরিশুদ্ধ করল এবং ক্ষতিগ্রস্ত যে তা কলুষিত করল।’ (সুরা আশ-শামস, আয়াতঃ ৯-১০)
# দৃষ্টি সংযত করাঃ কু-দৃষ্টি নারীকে বিব্রত ও লজ্জিত করে এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের আত্মমর্যাদা তাতে আহত হয়। ইসলাম পুরুষ ও নারী উভয়কে দৃষ্টি অবনত রাখতে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য উত্তম। তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত।’ (সুরা নুর, আয়াতঃ ৩০)
# লজ্জা ও শালীনতাঃ লজ্জাহীনতা মানুষকে ব্যক্তিত্বহীন করে তোলে। নির্লজ্জ মানুষ যেকোনো কাজ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) লজ্জাকে ঈমানের অংশ এবং সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘লজ্জা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২৪)
0 Comments