সিজদাহ
দীর্ঘ করবেন কেন! জানলে অবাক হবেন
-
সালাতের
সবচেয়ে মধুর অংশ সিজদাহ। এ সময় মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে কাছে থাকে। আল্লাহকে ডাকার,
আল্লাহর কাছে মনের আবদারগুলো তুলে ধরার, না-পাওয়া চাওয়াগুলো, মনের গভীরের
ব্যথাগুলো ব্যক্ত করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এটা। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম, তিনি বলেছেন জুতোর ফিতে চাইলেও যেন আল্লাহর কাছে চাই।
আরও দেখুন... বিয়ের ব্যাপারে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ মতামত
সিজদার
এই মাহাত্ম কেউ যখন বোঝে, তখন সিজদাহ হয় পরম আরাধ্য। দীর্ঘ হয় সিজদাহ। নত মাথায়
একের পর এক তুলে ধরতে থাকে বুকের জমানো ব্যথাগুলো। একান্ত মিনতিগুলো। দুনিয়া ও
আখিরাতের সব চাওয়াগুলো।
-
চাকুরি
পাচ্ছেন না? সিজদায় পড়ে আল্লাহকে জানান। চাকুরি পেয়েছেন, সিজদায় যেয়ে আল্লাহর
কৃতজ্ঞতা আদায় করুন। সংসারে সমস্যা? আল্লাহকে বলুন। সন্তান ইসলামের উপর নেই?
আল্লাহর সামনে নত হয়ে দু‘আ করুন। নিজে ইসলামে এসেছেন, কিন্তু পরিবারের প্রিয়জনদের
ইসলামের পথে আনতে পারছেন না? ফেসবুকে কোনো দীনি ভাই/বোনকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন।
কিন্তু তার কোনো কর্মকাণ্ড পছন্দ হচ্ছে না? সহজ সমাধান- সিজদায় লুটিয়ে পড়ুন।
আরও দেখুন... ইসলামে যে মেয়েদের বিয়ে করা নিষেধ
এ এক অদ্ভুত কথোপকথন। স্রষ্টা আর সৃষ্টির মাঝে কোনো ব্যবধান নেই। কোনো মাধ্যম নেই। সৃষ্টি তার স্রষ্টার সঙ্গে কথা বলছে সরাসরি। স্রষ্টা সেগুলো শুনছেন। প্রস্তুত করছেন প্রতিদান। সব প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে সিজদার মতো একটি অনুগ্রহ দান করেছেন। অন্তরের বাসনাগুলো চাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
-
কী দরকার? শুধু আল্লাহকে বলুন। যা চাচ্ছেন, তা না দিলেও, বা তৎক্ষণাৎ না-পেলেও, আল্লাহ নিজের জ্ঞানে আপনার জন্য যেটা যখন ভালো মনে করেন, সেটা তখনই দেবেন- এই বিশ্বাস রাখুন। আমাদের জন্য আল্লাহর দুয়ার সব সময় খোলা। আমরা সেই দুয়ারে কড়া নাড়ছি তো?
“সিজদাহ করে আল্লাহর কাছাকাছি হও।” [সূরাহ আল-‘আলাক়, ৯৬:১৯]
“তোমাদের প্রতিটা প্রয়োজনের জন্য আল্লাহর কাছে চাও। সেটা যদি লবণ হয়, এমনকি জুতোর ফিতে যদি ছিঁড়ে যায় তবুও।” [জামি আত-তিরমিযি, হাদীস নং ৩৬০৪, হাসান]
0 Comments