স্মার্ট হতে
হলে আগে
নিজেকে বুঝতে
হবে। আপনার
কী পছন্দ,
কীভাবে চলাফেরা
করতে বেশি
আরামদায়ক মনে
হয় সেভাবে
নিজেকে পরিবর্তন
করুন।
স্মার্টনেস মানেই
দেখতে ভালো
লাগা বা
ট্রেন্ডি পোশাক
পরা নয়।
স্মার্টনেস হলো
অভ্যন্তরীণ মানসিক
ব্যাপার। আপনি যা,
নিজেকে ঠিক
সেভাবেই উপস্থাপন
করা হলো
স্মার্টনেস। ঠিক
কীভাবে নিজেকে
সবার কাছে
উপস্থাপন করবেন
তা যদি
বুঝে উঠতে
না পারেন,
তাহলে নিজের
মধ্যে কিছু
ছোট ছোট
পরিবর্তন নিয়ে
আসুন। কিছু
ক্ষেত্রে হয়ে
উঠুন কৌশলী।
খুব সাধারণ
কিছু কৌশল
অবলম্বন করে
আপনিও হয়ে
উঠতে পারেন
স্মার্টনেসের অধিকারী।
সৌজন্যতাবোধ: সব
জায়গাতেই কিছু
ন্যূনতম সৌজন্যতা
মেনে চলা
উচিত। এতে
যেমন বুদ্ধিমত্তার
পরিচয় পাওয়া
যায় তেমনি
স্মার্টনেসেরও পরিচয়
পাওয়া যায়।
যেমন খুব
জোরে জোরে
কথা বলবেন
না। বিশেষ
করে কর্মক্ষেত্রে। ধুপধাপ পা
ফেলে না
হেঁটে নিঃশব্দে
হাঁটার চেষ্টা
করুন। কারো
সাহায্য নেবার
পর ধন্যবাদ
জানানোও কিন্তু
সৌজন্যতাবোধের মধ্যে
পড়ে। কাউকে
বিরক্ত করলে
দুঃখিত বলুন।
এগুলো খুবই
ফর্মাল আচরণ
মনে হলেও
সৌজন্যতাবোধের বহিঃপ্রকাশও
বটে!
কথা বলুন
বুঝেশুনে: আপনার
কি অনেক
কথা বলার
অভ্যাস? তাহলে
বাড়তি কথা
বলা একটু
কমিয়ে দিন।
যতটুকু প্রয়োজন
কথা ঠিক
ততটুকু বলার
অভ্যাস (Habit) করুন। কখন,
কোথায়, কী
বলতে হবে
তা বোঝার
চেষ্টা করুন।
কথা বলুন
বুঝেশুনে এবং
গুছিয়ে। আপনি
কী বলতে
চাইছেন তা
যেন আপনার
বক্তব্যে পরিষ্কার
বোঝা যায়।
হেসে সুন্দর
করে কথা
বলুন: হেসে,
সুন্দর করে
কথা বলাও
স্মার্টনেসের পরিচায়ক।
তাই বলে
কথায় কথায়
হো হো
করে হাসবেন
না যেন!
এটাও শোভন
নয়। স্মিতহাস্যে
কথা বলুন
সবার সাথে।
মানুষটি যদি
বিরক্তিকরও হয়,
আপনার কথা
শুনে সে
যেন আপনার
বিরক্তিটুকু ধরতে
না পারে।
মোট কথা,
আপনার সাথে
কথা বলে
যেন কারো
মনে না
হয় আপনি
রূঢ় আচরণ
করছেন।
ভালো ব্যবহার
করুন: যেকোনো
পরিবেশে মানিয়ে
চলাটাই স্মার্টনেসের
(smartness) অন্যতম পরিচায়ক।
আপনার মনের
অবস্থা যদি
খারাপও হয়,
ভালো ব্যবহার
করুন সবার
সাথে। অল্পতেই
বিরক্ত হবেন
না বা
রেগে যাবেন
না। ধৈর্য
ধরে ধীরস্থির
ভাবে সবার
সাথে ভালো
ব্যবহার করে
যান। প্রতিটা
সময় ভালো
আচরণ আপনাকে
গড়ে তুলবে
একজন স্মার্ট
মানুষ হিসেবে।
পোশাক পড়ুন রুচিশীল: হালফ্যাশনের বা ট্রেন্ডি পোশাক পরা মানেই স্মার্ট(smart) হওয়া নয়। পোশাক-আশাক যদি ঠিকমতো নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে আপনার স্মার্টনেস অনেকাংশেই মার খেয়ে যাবে। তাই পোশাক পরুন নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী। হালফ্যাশনের পোশাক নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলে বেছে নিন সব সময়েই যেসব পোশাকের চল থাকে, সেই পোশাকগুলো। যেমন শাড়ি, সাধারণ ছাঁটের সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, ফর্মাল শার্ট, প্যান্ট, স্ট্রেইট কাটের জিন্স, পোলো টিশার্ট ইত্যাদি। কী রঙের পোশাক বেছে নেবেন তা বুঝতে না পারলে পরুন হালকা যেকোনো রঙের পোশাক। হালকা রং সবাইকেই মানিয়ে যায়।
0 Comments