আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে?
আপনি যখন মন থেকে অনুভব করবেন, আপনার একজন রব (আল্লাহ) আছেন, যিনি আপনাকে চালাচ্ছেন, খাওয়াচ্ছেন, দেখাচ্ছেন-- তখন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত আপনার চোখ দুটো অশ্রুসিক্ত হতে বাধ্য। সত্যি বলতে, আমরা ভাসাভাসারূপে আল্লাহতে বিশ্বাস করি, তাঁকে অনুভব (feel) করি না বা করতে পারি না।
সাহাবাগণের ব্যাপারে বলা হয়, তাঁরা কুরআন বুকে জড়িয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে বলতে থাকতেন, "হাযা কালামু রাব্বি! হাযা কালামু রাব্বি!" (এটি আমার রবের কথা! এটি আমার রবের কথা!)
যখন আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন যে, আপনার মৃত্যুর পরই আসল জীবন শুরু হবে; সেখানে অনন্তকাল থাকতে হবে, তখন আপনি দুনিয়াতে অবশ্যই নেককাজে লেগে যাবেন। তখন দুনিয়াতে কোন না পাওয়ার বেদনা আপনাকে গ্রাস করতে পারবে না। যেমন: আপনি দেখতে তেমন সুন্দর নন, আপনি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না, আপনি গরিবি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন, আপনি নিশ্চিত হয়ে গেছেন আপনি আব্বু বা আম্মু ডাকটি শুনতে পারবেন না এই জীবনে কিংবা আপনার চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে, ডাক্তার "সরি" বলে দিয়েছে।
*** এসবকিছুতে তখন আর আপনি বিচলিত হবেন না মোটেও, দুঃখে ভারাক্রান্ত হবেন না। হতাশা চেপে ধরবে না, উদভ্রান্তের মতো পায়চারি করবেন না। কারণ আপনি জানেন, এসব সমস্যা, দুঃখ-বেদনা আপনার আখিরাতের জীবনে সফলতা অর্জনের পথে কোনো বাধা নয়। জাস্ট ক্ষণিকের দুনিয়াতে আপনি কিছু ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন; এটুকুই। কারণ এসব সমস্যার ভীড়েও যদি আপনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যুবরণ করতে পারেন তবেই আপনি সফল! চূড়ান্ত সফল! যে সফলতার কোন অন্ত নেই।
.
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত কে? প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ না?
.
উত্তর দিচ্ছেন আল্লাহ নিজেই তাঁর কিতাবে (কুরআনে)
إنّ أكرمكم عند الله أتقاكم
"নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত সে-ই, যে তোমাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি তাকওয়া অবলম্বন করে।"
আর তাকওয়া হলো, আল্লাহর ভয়ে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা ও তাঁর সন্তুষ্টির পথে চলা। আপনিই বলুন, এই যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত কোন সমস্যা কি প্রতিবন্ধক? তাহলে হতাশ কেন আপনি? আল্লাহকে সন্তুষ্ট করুন (দুনিয়াতে), তিনিও আপনাকে সন্তুষ্ট করবেন (আখিরাতে)।
0 Comments