Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

যেসব উপার্জন ধ্বংস ডেকে আনে- মিজানুর রহমান আজহারী

যেসব উপার্জন ধ্বংস ডেকে আনে- মিজানুর রহমান আজহারী

যেসব উপার্জন ধ্বংস ডেকে আনে

যেগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ কিন্তু মানুষের ধারণা এসব পথে মানুষের রিজিক বৃদ্ধি পায়, সম্পদ ও প্রাচুর্য আসে। অথচ এসব বিষয় মানুষের রিজিকের বরকত উঠিয়ে নেয়। দুনিয়া-আখিরাত ধ্বংস করে দেয়। নিম্নে এমন কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলোঃ

-

[আরও পড়ুন- লোক দেখানো ইবাদতের ভয়ঙ্কর পরিনাম]

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ সুদকে হ্রাস করেন এবং সদকাকে বর্ধিত করেন।’ (সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ২৭৬)


# এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদরা বলেন, সুদ সম্পদের বরকত নষ্ট করে দেয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে জাতির মধ্যে সুদ প্রসারিত হয়, তারা অবশ্যই দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয়। (মুসনাদে আহমাদ) এই দুর্ভিক্ষ অনেক ধরনেরই হতে পারে। যেমনঃ আগে দুর্ভিক্ষ ছিল খাবারের অভাব আর এখন দুর্ভিক্ষ হচ্ছে নির্ভেজাল খাবারের অভাব। মানুষের কাছে টাকার নোট বাড়লেও সংসারে শান্তি নেই। শরীরে সুস্থতা নেই।

[আরও পড়ুন- বিয়ের ব্যাপারে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা]

-

# কৃপণতাঃ বদান্যতা মানুষের রিজিক বৃদ্ধি করে। যারা আল্লাহর রাস্তায় মুক্তহস্তে দান করে কিংবা পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করে, মহান আল্লাহ তাদের জীবনকে বরকতময় করে তোলেন। তাদের রিজিকে বরকত দেন। এর বিপরীতে যারা অর্থলোভে কৃপণতা অবলম্বন করে, তারা নিজেদের জন্য ধ্বংস ও অভাব-অনটন ডেকে আনে। একদা রাসুল (সা.) ভাষণ দেন এবং বলেন, ‘তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে তারা কৃপণতা করেছে, তাদের আত্মীয়তা ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে, তখন তারা তা-ই করেছে এবং তাদের পাপাচারে প্ররোচিত করেছে, তখন তারা তাতে লিপ্ত হয়েছে। (আবু দাউদ, হাদিসঃ ১৬৯৮)


# অবৈধ পন্থাঃ অনেকে মনে করে, অঢেল সম্পদ অর্জনের জন্য ঈমান ও তাকওয়ার পথ ছেড়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের বিকল্প নেই। অথচ রিজিকে বরকত আসার জন্য আল্লাহর ওপর ঈমান ও তাকওয়া অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি। যে বান্দা এই দুটি জিনিস অর্জন করতে পারবে না, তার রিজিকে সংকীর্ণতা নেমে আসবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘আর যদি জনপদগুলোর অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত, তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও জমিন থেকে বরকতগুলো তাদের ওপর খুলে দিতাম; কিন্তু তারা অস্বীকার করল। অতঃপর তারা যা অর্জন করল, তার কারণে আমি তাদের পাকড়াও করলাম।’ (সুরাঃ আরাফ, আয়াত : ৯৬)

-

[আরও পড়ুন- সাহাবাদের ২৫টি প্রশ্ন রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উত্তর]

হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষ তার পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ৪০২২)


তাই অঢেল সম্পদের লোভে পড়ে ঈমান ও তাকওয়ার পথ অবলম্বনের কোনো সুযোগ নেই। মহান আল্লাহ আমাদের উপরোক্ত অভ্যাসগুলো পরিহার করার তাওফিক দান করুন।

[আরও পড়ুন- সিজদাহ দীর্ঘ করবেন কেন? জানলে অবাক হবেন]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ