যে আমল করলে ভাল সঙ্গী নিশ্চিত
প্রত্যেক পুরুষের একটি দুশ্চিন্তা তাকেঃ ভাল স্ত্রী ভাগ্যে
আসবে তো? আবার একই অবস্থা হয় মেয়েদের ক্ষেত্রেও। তাই এরূপ দুশ্চিন্তা না করে ইবরাহীম
(আ:) এর শিখানো দোয়া টি পড়লে আল্লাহ পাক মেহের
বাণী করবেন বলে আশা করা যায়। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত সেই দোয়াটি হচ্ছে- “হে আল্লাহ আমাদের
চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান দান করুন।”
পাত্র-পাত্রী
নির্বাচন:
বিয়ের জন্য
পাত্র-পাত্রীর ইজাব-কবূল জরুরী। পাত্র নির্বাচনে যেমন পাত্রের ধার্মিকতা, সৎচরিত্রতা
ও স্বচ্ছলতার প্রতি খেয়াল রাখা হয়, তেমনি পাত্রী নির্বাচনে কিছু গুণাবলীর দিকে লক্ষ্য
করতে হয়। ভাল পাত্রীর গুণাবলী সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সহধর্মীণীগণকে উদ্দেশ্য
করে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, “যদি তিনি (রাসূলুল্লাহ) তোমাদের ত্যাগ করেন, তাহলে
আশা করা যায়, তাঁর পালনকর্তা তোমাদের পরিবর্তে তাঁকে তোমাদের চেয়ে ভাল স্ত্রী দান করবেন,
যারা হবেন অনুগতা, ঈমানদার, অল্পে তুষ্ট, তাওবাকারিণী, ইবাদতকারিণী ও রোযাদারঃ অকুমারী
কিংবা কুমারী।
এছাড়াও সাধারণতঃ
যেসব গুণাবলী মুসলমান হিসেবে পাত্র-ছাত্রীর মধ্যে থাকতে হবে, তা নিম্নরূপঃ “নিশ্চয়
মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিনা নারী, অল্পেতুষ্ট পুরুষ ও অল্পে
তুষ্ট নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদিণী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীলা নারী, বিনীত
পুরুষ ও বিনীতা নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীলা নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারিণী
নারী, যৌনাঙ্গ হিফাজতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ সংরক্ষণকারিণী নারী, আল্লাহর জিকিরকারী পুরুষ
ও জিকিরকারিণী নারীঃ তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত করে রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরুষ।” (সূরাহ
আহযাব, আয়াতঃ ৩৫)
তবে আধুনিক
যুগে দেখা যায়, পাত্রী পছন্দে আল্ট্রা মর্ডাণ, স্মার্ট, ফ্যাশনপ্রিয়া নারীদেরকে খোঁজা
হয়, যাদের অনেকেরই চরিত্র ঠিক থাকে না, প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে যিনায় লিপ্ত হয়। এসব নারীকে
পাত্রী হিসেবে পছন্দ করার ঘৃণ্য মানসিকতা ও কুরুচি সম্পর্কে কুরআন মাজীদ ঘোষণা করেছে,
“যিনাকারীনী ব্যভিচারী পুরুষ ব্যভিচারীণী যিনাকারিণী নারী বা মুশরিক নারীকেই বিয়ে করতে
পারে। এমনিভাবে একজন ব্যভিচারিণী নারীকে যিনাকারী বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ বিয়ে
করতে পারে না। এসব (নষ্ট নারীকে) ভাল ঈমানদার পুরুষের জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”
অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে সাধারণতঃ ভাল পুরুষের যাওয়া উচিত নয়। যদি কখনও তারা তাদের খপ্পরে
পড়ে যায়, তাহলে তার ফলাফল বড়ই করুণ হয়। তবে কেউ তাওবা করলে এবং সংশোধন হতে চাইলে, তা
ভিন্ন কথা। (সূরা: নূর, আয়াত: ৩)
কোন ধরনের পাত্র-পাত্রী
কাদের জন্য- এর মীমাংসায় পবিত্র কোরআনে আরো ইরশাদ হয়েছে, “দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্রা
পুরুষদের জন্য, আর দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য। পক্ষান্তরে সচ্চরিত্রা
নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য, আর সচ্চরিত্র পুরুষরা সচ্চরিত্রা নারীদের জন্য।”
(সূরা: নূর, আয়াত: ২৬)
এ আয়াতটির প্রতি
অনুধাবন করে যারা নেক ও সচ্চরিত্র সঙ্গী পেতে চায়, তাদের উচিত ও কর্তব্য হচ্ছেঃ নিজেকে
সৎ ও নেক্কার রূপে গড়ে তোলা।
0 Comments