সপ্তম শ্রেণী
বিষয়ঃ বাংলা ১ম পত্র (সৃজনশীল)
১। নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মাদার তেরেসা আজীবন মানুষের সেবা করেছেন। তাঁর সেবার কাজ কোনো দেশ বা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। আমাদের বাংলা দেশ থেকে শুরু করে সমস্ত পৃথিবী জুড়েই তাঁর সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে রোগ, দুঃখ, দারিদ্র, অসহায়তা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ সেখানেই মাদার তেরেসা তার সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মাদার তেরেসা ছিলেন সকল সমাজের সকল দেশের।
(ক) বেগম রোকেয়া কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
(খ) বেগম রোকেয়ার সময়ে নারীর অবস্থা কেমন ছিল? ব্যাখ্যা কর।
(গ) মাদার তেরেসার কাজের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার কাজের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।
(ঘ) বেগম রোকেয়া ও সেবা করেছেন, অন্য রকম সেবা প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
২। মাহফুজা চমৎকার কবিতা লেখেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি নানা শব্দ নিয়ে চিন্তা করতেন। জীবনে বিভিন্ন অংশের স্মৃতিকে মব্দের ভেতর সাজাতে পছন্দ তার। মাহফুজার ভাইপো তাকে খুব পছন্দ করে। কারণ তিনি তার ভাইপো নিলয়কে নানা কবিতা শোনান। নিলয় তার ফুফু মাহফুজাকে পেলেই কবিতা ছড়া বলার বায়না ধরে। একদিন নিলয় তার ফুফুকে বলে ফুফু তুমি এতো সুন্দর সুন্দর কবিতা কিভাবে লেখো? মাহফুজা উত্তর দেয়, তুমি তোমার চারপাশের সুন্দর সুন্দর স্বপ্নময় শব্দগুলোকে বুকে ধারণ করে রাখবে, দেখার তুমিও একদিন চমৎকার কবিতা লিখতে পারবো।
(ক) শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্দের লেখক কে?
(খ) ছন্দ বলতে কী বোঝ?
(গ) উপরের উদ্ধৃতির মাহফুজা ও তার ভাইপো নিলয়ের সঙ্গে শব্দ থেকে কবিতা প্রবন্ধের মিল কোথায়?
৩। তামান্নার বয়স পাঁচ-ছয় বছর। কিন্তু সমস্যা হলো, তার বয়সের সাথে সাথে বুদ্ধি বাড়েনি। কথা বোঝা বা বলার ক্ষেত্রে অন্য সকলের মতো এর স্বাভাবিক ক্ষমতা গড়ে উঠেনি। বসা, দাঁড়ানো ও চলাফেরা শিখতে সাধারণ সময়ের চেয়ে বিলম্ব হয়েছে। স্মৃতির ক্ষেত্রে ও দুর্বলতা রয়েছে। সে শুনে কিছু মনে রাখতে পারে না। অর্থাৎ তার দেহের বয়স বাড়লেও মনের বয়স বাড়ে নি।
(ক) হাওয়াই মিঠাই কিসের চেয়ে হালকা?
(খ) আরজু কাঁদছিল কেন?
(গ) তামান্না ও আরজুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য লেখ।
(ঘ) আরজু ও তামান্না উভয়েই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু’- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
৪। সঞ্জীব চাকমা তার বন্ধু রায়হানের বিয়ে উপলক্ষে চট্টগ্রাম এসেছে। বিয়ের দিন বরের সঙ্গী হয়ে বরযাত্রীর সাথে সঞ্জীব কন্যা পক্ষের বাড়িতে আসে এবং বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানটি কাছ থেকে দেখে আনন্দিত হয়। বিয়েতে কন্যা পক্ষের কোনো ধরনের দাবি-দাওয়া নেই দেখে সে খুবই অবাক হয়। অবশেষে ফিরে যাওয়ার দিন সে বন্ধুকে নববধূসহ আসছে নববর্ষে তার বাড়ি যাওয়ার নিমন্ত্রণ দেয়। সে জানায় নববর্ষ উদ্যাপন তাদের জাতীয় উৎসবের একটি অংশ। এই বর্ণিল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠানটি দেখে রায়হান খুবই আনন্দ করে।
(ক) চাকমা পরিবারের প্রধান কে?
(খ) হেডম্যানের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
(গ) সঞ্জীবের অবাক হওযার কারণ ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ প্রবন্ধটির আলোকে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সঞ্জীবের জাতীয় উৎসবটি কিভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় করেছে? বিশ্লেষণ কর।
৫। শৌলদহ গ্রামের অধিবাসীরা প্রধানত কৃষিজীবি। তবে যাদের চাষী জমি নেই তারা শ্রমিকের কাজ করে। নারীরা ঘর-গৃহস্থালির কাজ করে। সন্তান লালন-পালনেই তাদের দিন চলে যায়। মাঠে পুরুষের কাজে সাহায্যে করার সুযোগ পায় না। গ্রামের নারীরা পর্দাপ্রথার কারণে ঘরের বাইরে তেমন একটা বের হয় না। ফলে বাইরের জগৎ সম্পর্কে অন্ধ হয়ে রযেছে তারা।
(ক) গারোরা পুরোহিতকে কী বলে?
(খ) ‘আর্থভাষা বহুভাষার জননী’- কেন?
(গ) মৌলদহ গ্রামের নারীদের সাথে গারো নারীদের তুলনা কর।
(ঘ) ‘পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৌলদহ গ্রামের মেয়ে গারো নারীদের ভ‚মিকা বেশি।”- বক্তব্যটি ব্যাখ্যা কর।
৬। হে মহাজীবন আর এ কাব্য নয়- এবার কঠিন কঠোর সদ্য আলো পদ-লালিত্য-কঙ্কাল মুছে যাক গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হালো-
(ক) ‘কাস্তে’ শব্দের অর্থ কী?
(খ) ‘প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা’- দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
(গ) উদ্ধৃতাংশের সঙ্গে সে দিনের কবিতার কোথায় মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) এবার কঠিন কঠোর গদ্য আলো’- উক্তিটি সে দিনের কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
৭। আশা ও এশা দুবোন একই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। মা দুজনের টিফিন ও রিকশা ভাড়া বড় বোন আশার কাছে দেন। আশা প্রায়ই তার সহপাঠীদের সঙ্গে তার নাস্তা ভাগাভাগি করে খায়। মাঝে মধ্যে কোন প্রতিবন্ধী যা অসহায় লোক দেখলে আশা রিকশা ভাড়ায় পুরো টাকা তাদেরকে দিয়ে হেঁটে বাসায় ফেরে। এশা মোটেই আশার এ ধরনের কাজ পছন্দ করে না। অবশেষে একদিন মায়ের কাছে অভিযোগ দেয়। মা আশাকে বকাঝকা না করে শুধুই হাসেন।
(ক) উপদেশ’ কবিতা অনুসারে ‘বড়লোক’ হওয়ার পূর্বশর্ত কোনটি?
(খ) কবি গুরুজনের বানী মেনে চলতে বলেছেন কেন?
(গ) এশার মনোভাব উপদেশ কবিতার কোন বিষয়ের ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়? বর্ণনা কর।
(ঘ) আশা ও মায়ের আচরণ ‘উপদেশ’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
৮। ইয়াকুব ২৬ মার্চ উপলক্ষে তার মামার সঙ্গে স্মৃতিসৌধ দেখতে যায়। সেকানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে সবকিছু দেখে নেয় সে। তারপর মামার কাছে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কারণ জানতে চায়। তার মামা বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারীদের স্মরণে এ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
(ক) কিসের বিনিময়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি?
(খ) স্মৃতিসেওধের প্রতিটি কনায় গাঁথা’ কী গাঁথা’?
(গ) উদ্দীপকটিতে স্মৃতিসৌধ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উটেছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের ইয়াকুবের মামার বক্তব্যে স্মৃতিসৌধ’ কবিতার মূল বিষয় প্রকাশিত হয়েছে- বিশ্লেষণ কর।
৯। মোদের গরব মোদের আশা
আ-মরি বাংলা ভাষা,
তোমার কোলে তোমার বোলে
কতই শান্তি ভালোবাসা।
(ক) কবি মহাদেব সাহা কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
(খ) কবির অন্তরে ঢেউ তোলে কেমন করে?
(গ) উদ্দীপকের সাথে’ এই অক্ষরে’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
(ঘ) উদ্দীপক ও এই অক্ষরে’ কবিতার আলোকে বাংলা ভাষার প্রতি বাঙ্গালির আবেগের পরিচয় দাও।
0 Comments