Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

একাদশ প্রথম পর্ব পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্র প্রশ্ন

একাদশ প্রথম পর্ব পরীক্ষা
একাদশ শ্রেণি
বিষয়ঃ বাংলা ১ম পত্র (সৃজনশীল)
ক-বিভাগ

১। উক্তি-১ : ‘আজ শুধু একলা চাষির চাষ করিবার দিন নাই। আজ তাহার সঙ্গে বিদ্বানকে, বৈজ্ঞানিককে যোগ দিতে হইবে। আজ শুধু চাষির লাঙ্গলের ফলার সঙ্গে আমাদের দেশের মাটির সংযোগ যথেষ্ট নয়। সমস্ত দেশের বুদ্ধির সঙ্গে, বিদ্যার সঙ্গে, অধ্যবসায়ের সঙ্গে তাহার সংযো হওয়া চাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
উক্তি-২ : কৃষকের মধ্যে শিক্ষার প্রসার না হলে কৃষি উন্নয়ন আশানুরূপ সাফল্য লাভ করতে ব্যর্থ হবে। কাশতকার
(ক) ‘পখাল’ শব্দের অর্থ কী?
(খ) ‘কিন্তু ইহার অপর পৃষ্ঠাও আছে।’ উক্তিটি দ্বারা লেখিকা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
(গ) উদ্দীপকের উক্তি দুটির সঙ্গে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সার্বিক দিক উপস্থাপিত হয়নি।- উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।
(ঘ) “উদ্দীপকে ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের সার্বিক দিক উপস্থাপিত হয়নি।”- উক্তিটির যথার্থতা বিচার কর।

২।    প্রতিদিন সকালে-বিকালে রমনা পার্কে অতিরিক্ত ভোজনের কারণে শরীরে জমে উঠা মেদ ভুড়ি কমানোর জন্য ধনী লোকেরা প্রাণান্ত কসরত করে। আর কাছে থেকেই ক্ষুধার জ্বালায় কাতরাতে কাতরাতে সেই কসরত দেখে পার্কের শীর্ণদেহী স্থায়ী বাসিন্দারা।

(ক) ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ গ্রন্থটি কয়টি অংশে বিভক্ত?
(খ) ‘এ সংসারে ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, দধি, মৎস্য, মাংস সকলি তোমরা খাইবে আমরা কিছু পাইব না কেন?’- ব্যাখ্যা কর।
(গ) “উদ্দীপকের কথিত স্থায়ী বাসিন্দারা ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে বর্ণিত কোন ভাবটিকে নির্দেশ করে?” বর্ণনা কর।
(ঘ) “উদ্দীপক এবং ‘বিড়াল’ প্রবন্ধে একটি সমাজবাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে।”- তোমার মতামত দাও।

খ-বিভাগ

৩।    বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ জ্বালা এই বুকে।
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।
রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা,
তাই লিখে যাই এই রক্ত লেখা,
বড় কথা বড় ভাব আসে নাকো মাথায়, বন্ধু বড় দুঃখে।
অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু যাহারা আছ সুখে।

(ক) কবি কী কুড়িয়ে আনেন?
(খ) ‘সাহিত্যের ঐকতান সংগীতসভা’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
(গ) ‘উদ্দীপক ও ঐকতান কবিতার মূলভাব এক নয়’- আলোচনা কর।
(ঘ) ‘ঐকতান কবিতায় কবি যে কবির প্রত্যাশা করেছেন, উদ্দীপকে তারই প্রতিধ্বনি শোনা যায়।’- তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন কর।

৪।    ‘স্বদেশের উপকারে নাই যার মন
কে বলে মানুষ তারে পশু সেইজন।
(ক) ‘রাবণি’ কাকে বলা হয়েছে?
(খ) ‘বিভীষণ নিজেকে রাঘবের দাস বলেছেন কেন?
(গ) উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন চরিত্রকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা দাও।
(ঘ) ‘নিজ গৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে?’- চরণটির মূলভাব উদ্দীপক ও ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
গ-বিভাগ

৫।    সুবর্ণপুর গ্রামে প্রায় সকলেই মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। পুকুর বা ফিশারিতে যখন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লাফালাফি করে, তখন তাদের মন আনন্দে ভরে যায়। কিন্তু এবার মাছের মড়ক দেখা দেওয়ায় তারা বিষন্ন। একজন মৎস্য কর্মকর্তা তাদের আশ্বস্ত করে বলেন যে মড়কের কারণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু তাতে চাষিদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন হয় না। স্থিরদৃষ্টিতে তারা তাকিয়ে থাকে রুপার মতো সাদা মৃত মাছের দিকে।
(ক) কার নীরবতা পাথরের মতো ভারী?
(খ) ‘তার আনুগত্য ধ্রæবতারার মতো অনড়, বিশ্বাস পর্বতের মতো অটল।’- ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের মাছ চাষিদের সাথে মহব্বত নগর গ্রামের কৃষকের সাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর।
(ঘ) ‘বিশ্বাসের পাথরে যেন খোদাই সে-চোখ’। উক্তিটির ভাবের সাথে উদ্দীপকের ভাবের মিল ঘটেছে কি? বিশ্লেষণ কর।

৬।    সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ‘বহিপীর’ নাটকে বৃদ্ধ বহিপীরের সঙ্গে জোরপূর্বক তাহেরাকে বিয়ে দেয় তার বাবা-মা। কিশোরী তাহেরা তা মেনে নেয়নি। সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। বহিপীরও নাছোড়বান্দা। সে-ও তাহেরার পিছু নেয়। ঘটনাক্রমে তারা দুজনেই এক জমিদারের বজরায় আশ্রয় লাভ করে। বহিপীর তাকে নানা প্রকারের ধর্মীয় ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে কাছে পেতে চায়। কিন্তু তাহেরাও কম নয়, উচিত জবাব দেয় সে। শেষে তাহেরার যৌক্তিক কথার কাছে পরাজিত হয় ধর্ম ব্যবসায়ী বহিপীর।
(ক) ‘তার মনে বিদ্রোহ জেগেছে’- কার মনে?
(খ) ‘শত্রæর আভাস পাওয়া হরিণের মতোই সতর্ক হয়ে ওঠে তার চোখ।’ কেন?
(গ) উদ্দীপকের বহিপীরের সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
(ঘ) ধর্মান্ধ ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উদ্দীপকের তাহেরা ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের বিদ্রোহী জমিলা সমান মূল্যায়ন কর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ