Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

নির্বাচনী পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্ন

নির্বাচনী পরীক্ষা
শ্রেণি: দ্বাদশ
বিষয়ঃ বাংলা প্রথম পত্র


১।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
আজমল সাহেব চাকরি করেন কক্সবাজারে অবস্থিত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে। অন্যের সেবায় নিবেদিত পিতার একমাত্র মা-হারা কন্যা লায়লা। সে বড় হয়েছে সেবাধর্ম আর সাগরের উদারতা অন্তরে নিয়ে। সংসারে অর্থনৈতিক টানাপড়েন থাকলেও পরার্থে নিবেদিত আজমল সাহেব কখনোই সততার সাথে প্রবঞ্চনা করেন নি। লায়লা কোনোদিন তার পিতার মুখে মিথ্যা কথা শোনে নি। লায়লাও পিতার আদর্শ আর সাগরের উদারতা অন্তরে ধারণ করে নিজেকে গড়ে নিয়েছে।
(ক) ‘হৈমন্তী’ গল্পে উল্লিখিত ‘প্রজাপতি’ শব্দের অর্থ কী?
(খ) সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
(গ) হৈমন্তী চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য লায়লার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে? চিহ্নিত কর।
(ঘ) উদ্দীপকটি ‘হৈমন্তী’ গল্পের মর্মবাণী আমাদের সামনে মূর্ত করে তোলে- যথার্থতা নিরূপণ কর।

২।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

বর্তমানে নব্য কবি-লেখকদের হিড়িক পড়ে গেছে বাজারে। যেহেতু কবি-সাহিত্যিকরা মানুষের কাছে শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র, তাঁদের সুনাম জগতজোড়া, তাই অনেকেই এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। সাহিত্যকে না বুঝে সাহিত্যের মর্মে প্রবেশ না করে কিছু একটা লিখেই নামের আগে গর্বিতভাবে কবি-সাহিত্যিক যোগ করে থাকেন। তার পরে সাহিত্যচর্চার বদলে দু-একটা বই বগলে করে কবি-সাহিত্যিক পদবির প্রচার ঘটাতেই তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ সাহিত্যের যারা সাত্যিকারের সাধক, প্রকৃত বিজয়মালা তাদের গলায়ই শোভা পায, বেশধারী সাহিত্যিকদের গলায় নয়।
(ক) কবির কাব্যকে শিক্ষক প্রথমে কী করেন?
(খ) ‘কারও মনোরঞ্জন করা সাহিত্যের কাজ নয়।’- ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের মূলকথার সাথে ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য নিরূপণ কর।
(ঘ) ‘সাহিত্যের যারা সত্যিকারের সাধক, প্রকৃত বিজয়মাল্য তাদের গলায়ই শোভা পায, বেশধারী সাহিত্যিকদের গলায় নয়।’ উদ্দীপকের এ মন্তব্যটি ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধের মূলভাবেরই নামান্তর- মূল্যায়ন কর।

৩।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমিজ আলী। অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু দেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, তখন তিনি আর ঘরে বসে থাকতে পারেন নি; মুক্তিযোদ্ধাদের কীভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ পাকবাহিনী বাংলাদেশে যে গণহত্যা শুরু করেছিল তা দেখে কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে বসে থাকা সম্ভব নয়। আবাল-বৃদ্ধ বণিতাকে হত্যা করে পুরো বাংলাদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল। তাই রমিজ আলী পাকসেনাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে সহায়তা করে প্রাণ হারান।
(ক) কলিমদ্দি কত বছর বয়সে ইউনিয়ন বোর্ডের দফাদারিতে ঢুকেছিল?
(খ) কিশোর রাখালকে মিলিটারিরা হত্যা করেছিল কেন?
(গ) উদ্দীপকের রমিজ আলীর সঙ্গে ‘কলিমদ্দি দফাদার’ গল্পে কলিমদ্দির বৈসাদৃশ্য কোথায়?- নিরূপণ কর।
(ঘ) উদ্দীপকে যে গণহত্যার কথা বলা হয়েছে ‘কলিমদ্দি দফাদার’ গল্পে এমন গণহত্যার বিবরণ কতটুকু সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে? বিশ্লেষণ কর।

৪।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
(ক) “পালিলাম আজ্ঞাসুখে; পাইলাম কালে
মাতৃভাষা-রূপ খনি, পূর্ণ মণিজালে\”
(খ) “কল্যাণীর ধারাবাহী যে মাধুরী বাংলা ভাষায়
গড়েছে আত্মীয়পল্লী, যমুনা-পদ্মার তীরে তীরে।”
(ক) উদ্দীপকের প্রথম অংশের রচয়িতা কে?
(খ) ‘বঙ্গভাষা’ কবিতার ভাববস্তু ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের প্রথম অংশে বাংলা ভাষাকে পেয়ে রচয়িতার মনে যে আনন্দের ফল্গুধারা প্রবাহিত হয়েছে দ্বিতীয় অংশের আলোকে তার গুরুত্ব নিরূপন কর।
(ঘ) ‘কবিতাংশ দুটির মূলভাব একই ধারায় উৎসারিত।’- বক্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৫।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
চাষিদের কেউ মনে রাখে না, গ্রীষ্মের অনলরূপ দুপুর, শ্রাবণের বাঁধভাঙা বৃষ্টি যারা কাঁধে নিয়ে চলে, তাদের কেউ মনে রাখে না। কারণ তারা চাষা, তারা আধুনিক সোসাইটির মর্যাদা বোঝে না। তারা বোঝে ফসলের মাঠে সবুজের হাসি, লাঙলের ফলায় বিদীর্ণ জমিনের বুক। তারা বুকের দরদ দিয়ে গায় অজানা পল্লির কোনো সুরেলা গান, সে গানের সুর ভেসে যায় সবুজ মাঠের সোনালি ফসলের ঢেউয়ে চড়ে দূর-দূরান্তে। আধুনিক সমাজে এর মূল্য নেই। নব্য সোসাইটিবাজেরা যে চিকন চালের ভাত খায়, তারা কখনো কি টের পেয়েছে যে, ঐ চিকন চালের মধ্যে মিশে আছে কার মাথার ঘাম? তবে যেদিন মানবতার দন্ডে বিচার হবে, যেদিন ঐ কৃষকের দল পার পাবে, আটকা পড়বে নব্য সমাজপতিদের দল।
(ক) ‘শ্রম-কিণাঙ্ক-কঠিন মুঠি’ কাদের?
(খ) “ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান”- ব্যাখ্যা কর।
(গ) “চাষিদের কেউ মনে রাখে না।”- উক্তিটির সাথে ‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার ভাবের সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য চিহ্নিত কর।
(ঘ) ‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার মূলভাবের কতটুকু আলোচ্য উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে- বিশ্লেষণ কর।

৬।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
আনোয়ারা বেগম প্রকৃতি ও মানুষের শোক-দু:খ, আনন্দ-বেদনার কবিতা তাঁর কবিতার অন্যতম মুল উপজীব্য বিষয়। স্বামী-পুত্র নিয়ে তাঁর সাহিত্যিক জীবন ভালোই কাটছিল। কিন্তু বøাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পুত্রের মৃত্যুতে তাঁর মানসিক বিপর্যয় নেমে আসে। প্রকৃতিতে তখন বসন্ত ঋতু প্রবহমান। পুত্রের মৃত্যুজনিত শোকে এ ঋতুতে সাহিত্য রচনা করতে পারছেন না।
(ক) ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
(খ) ‘দক্ষিণ দুয়ারে গেছে খুলি?’- তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় এ জিজ্ঞাসা কার এবং কেন?
(গ) উদ্দীপকের আনোয়ারা বেগমের সাথে ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবিমনের সাদৃশ্য উপস্থাপন কর।
(ঘ) ‘উদ্দীপকের কবি ও ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার কবির মধ্যে প্রিয়জন হারানোর বেদনার প্রকাশ ঘটেছে ভিন্নরূপে।’- উদ্ধৃতিটি ব্যাখ্যা কর।

৭।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
মালেক মিয়া একজন দরিদ্র কৃষক। দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করে। অন্যের জমিতে সারাদিন পরিশ্রম করে যে সামান্য অর্থ পায, তাই দিয়ে কায়ক্লেশে সংসার চালায়। একদিন কাজে না গেলে মালেক য়িার সংসারের সবাইকে উপবাস করতে হয়। সামান্য অসুখ-বিসুখে মালেক মিয়ার বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই। তবুও মালেক মিয়া নিজেকে সুখী মনে করে।
(ক) পদ্মানদীর মাঝির গ্রামের নাম কী?
(খ) অখিল সাহার পুকুরটা কুবের মাঝি এবারও জমা নিতে পারে না কেন?
(গ) উদ্দীপকের মালেক মিয়ার সঙ্গে ‘পদ্মানদীর মাঝি’র কুবেরের সাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় কর।
(ঘ) “উদ্দীপকের মালেক মিয়ার সঙ্গে কুবেরের মিল থাকলেও জীবনধারা ভিন্ন।” ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসের আলোকে বিচার কর।

৮।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় সকিনার। রুবেল মোটামুটি সচ্ছল মানুষ কিন্তু নিষ্ঠুর। সকিনার সঙ্গে সামান্য রাগারাগি হওয়ায় সকিনা বাপের বাড়ি চলে গেলে পাষন্ড রুবেল আবার বিয়ে করে। কিন্তু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাসে অল্প দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যায় এবং রুবেল পুনরায় সকিনাকে নিয়ে সংসার করে।
(ক) হোসেন মিয়ার বাড়ি কোথায় ছিল?
(খ) “যা বাড়িতে যা। দ্যাখ গিয়া বাড়িতে কী কান্ড হইয়া আছে।” এখানে ‘কান্ড’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?”- ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের রুবেল ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসের কার প্রতিচ্ছায়া?’- নির্ণয় কর।
(ঘ) ‘কপিলার সঙ্গে সকিনার সাদৃশ্য কিছু থাকলেও পুরাপুরি নেই।’- পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাস অনুসারে আলোচনা কর।

৯।    উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
লক্ষ্মণ মালো বড় বড় দীঘি জমা নিয়ে মাছের চাষ করে। মাছ ধরার চেয়ে এতে লাভ অনেক বেশি।  পোনা ছাড়া, মাছের যতœ, মাছ ধরা ও চালান দেওয়ার কাজে সে গরিব জেলেদের মজুর খাটায়। বর্ষাকাল মাছ ধরার মরসুম। জেলেরা তখন বেশি মজুরিতে অন্যের নৌকায় মাছ ধরার কাজ করে। তাই ল²ণ মালো কাজের লোক পায় না। বর্ষা শেষে জেলেরা বেকার হয়ে যায়। জেলেদের জাল নেই, জমা নেওযার টাকাও নেই। তাই তারা আয়ের আশায় ল²ণ মালোর কাছে দৌড়ায়। সে নিমরাজি নিমরাজি ভাব দেখিয়ে তাদের কাজে লাগিয়ে দেয়।
(ক) ‘পোলা দিয়া করুম কী?’- উক্তিটি কার?
(খ) কুবের পুকুর জমা নিতে চায় কেন?- ব্যাখ্যা কর।
(গ) কুবের চরিত্রের যে দিকটি উদ্দীপকের জেলেদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিরূপণ কর।
(ঘ) ‘কৌশলগত দিক থেকে ধনঞ্জয় ও লক্ষণ মালোর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তারা মানসিকতার দিক থেকে এক ও অভিন্ন।’- বিশ্লেষণ কর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ