অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা
সপ্তম শ্রেণি
বিষয়ঃ হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা (সৃজনশীল)
যে কোন ৭টি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ১। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় তিনি নিরাকার, আবার তিনি তার অসীম শক্তির বলে সাকার-রূপ ধারণ করতে পারেন। সকল সাকার-রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ। আমরা ঈশ্বরের নিরাকার স্বরূপকে ব্রহ্মা বলে থাকি।
(ক) ঈশ্বরের স্বরূপ কয়টি?
(খ) কীভাবে সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
(গ) ঈশ্বরের স্বরূপ উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সব সাকার-রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ, উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
২। নিচের ছকচিত্রটি এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ব্রহ্ম, শ্রীরামচন্দ্র, গণেশ, সরস্বতী
-
নিরাকার ঈশ্বর, অবতার, দেব- দেবী
-
সাকার রূপ (শ্রী কৃষ্ণ)
-
নিরাকার ও সাকার
(ক) ঈশ্বর শব্দের অর্থ কী?
(খ) ঈশ্বর পৃথিবীতে অবতারুপে আবির্ভুত হন কেন?
(গ) উদ্দীপকের আলোকে ঈশ্বর ও অবতারের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সকল সৃষ্টির মূলে রয়েছেন ঈশ্বর -বিশ্লেষণ কর।
৩। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
প্রতিটি জাতির নিজস্ব ধর্মগ্রন্থ রয়েছে। হিন্দুধর্মে যেমন রয়েছে, গীতা, পুরাণ উপনিষদ ইত্যাদি। আর এই ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলে আমাদের কল্যাণ হয়।
(ক) পুরাণ শব্দের অর্থ কী?
(খ) ধর্মগ্রন্থের বিষয়বস্তু বলতে কী বোঝায়?
(গ) ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলে আমাদের কী কী কল্যাণ হয় তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) পুরাণের বিষয়বস্তু তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৪। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
নারীর মর্যাদা সম্পর্কে ধর্মগুরু বলেন। ঈশ্বরের প্রকৃতি ও শক্তি হচ্ছে নারী। এই শক্তিকে আদ্যশক্তি মহামায়া বলা হয়। শক্তি ছাড়া কোন কাজ হয় না। আর সেই শক্তির দেবী হচ্ছে নারী। আমাদের সাংসারিক ক্ষেত্রেও সুখ শান্তিতে ভরে উঠায় নারীর মর্যাদাই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই হিন্দুধর্মের নারীদের বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে সমধিকার নারীর প্রাপ্য।
(ক) হিন্দুধর্মে ধর্ম বিশ্বাস কাকে বলে?
(খ) মাতৃরূপী নারীর প্রতি সন্তানের কর্তব্য কী?
(গ) ধর্মগুরুর মতে, নারীরা কীভাবে সংসার সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের শেষের বাক্যটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৫। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
রাধাকান্ত বাবু সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পূজা দেয়। তুলসী তলায় জল দেয়। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাস নিয়ে সে এই নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে জীব ও জগতের সকলে মঙ্গল কামনা করে।
(ক) মোক্ষ কথাটির অর্থ কী?
(খ) কর্মবাদ ও জন্মান্তরবাদ বলতে কি বোঝ?
(গ) রাধাকান্ত বাবুর জীবনে হিন্দুধর্মের নৈতিকতার গুণাবলি বর্ণনা কর।
(ঘ) ধর্মাচারণের মূল লক্ষ্য আত্মমোক্ষায় জগদ্বিতায় চ- বিশ্লেষণ কর।
৬। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
তিতিক্ষা ত্যাগের মতো একটি বিশেষ গুণ। তিতিক্ষা বলতে সহিষ্ণুতাতে বোঝায়। নৈতিকা গঠনে ধর্মের অঙ্গ হিসেবে তিতিক্ষা গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিতিক্ষা সমাজের শান্তি আনয়ন করে। মানুষে মানুষে গড়ে তোলে সৌহার্য্যরে মনোভাব। প্রকৃতপক্ষে ত্যাগ ও তিতিক্ষা একে অপরের পরিপূরক।
(ক) ত্যাগ কি?
(খ) ত্যাগ মানুষকে মহান করে, এনে দেয় শান্তি ব্যাখ্যা কর।
(গ) তিতিক্ষা কীভাবে সমাজে শান্তি আনয়ন করে বিশ্লেষণ কর।
(ঘ) প্রকৃতপক্ষে ত্যাগ ও তিতিক্ষা একে আপরের পরিপূরক- বিশ্লেষণ কর।
৭। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
সজলদের গ্রামে প্রতিবছর বন্যা হয়। প্রতি বছর বন্যায় প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি হয়। তারা সকলেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে থাকে। তাই গত বছর বন্যার পর সকলে মিলে একটি সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা সকলে মিলে একটা বাঁধ নির্মাণ করবে। আর এভাবে তারা একটা বাঁধ নির্মাণ করল এবং বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেল।
(ক) শ্রী রামচন্দ্র কোন যুগে পৃথিবীতে এসেছিলেন?
(খ) আমাদের সৎ জীবনের অধিকারী হতে হবে কেন?
(গ) উদ্দীপকে তোমার পাঠ্যবইয়ের ধর্মীয় উপাখ্যানে নৈতিক শিক্ষা অধ্যায়টি কোন নৈতিক শিক্ষা ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সজলদের গ্রামে বন্যার হাতে থেকে রক্ষার মূলে উক্ত নৈতিক দিক গুরুত্বপূর্ণ- তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দেখাও।
৮। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ভগবান তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেন। শিষ্টের পালনের জন্যই তিনি অবতাররূপে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তিনি মানুষের মতো আচরণ করেন।
(ক) মহাপুরুষ কাকে বলে?
(খ) শ্রীকৃষ্ণ কেন বৎসাসুরকে বধ করেছিলে?
(গ) কালিন্দীর জল কিভাবে পান যোগ্য হয়ে উঠে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ভগবান তার সৃষ্টিকে ভালোবাসেন -উক্তিটি কার আদর্শে ফুটে উঠেছে তা পাঠ্য বইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
৯। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
সেই ভজে সেই বড় অন্তহীন জড়
কৃষ্ণ জেনে নাহি জাতি কুলাদি বিচার
জীবে সম্মান দিবে জানি কৃষ্ণ অধিষ্ঠান।
(ক) এ উক্তিটি কে করেছেন?
(খ) শ্রীচৈতন্যদের পরিচয় দাও।
(গ) শ্রীচৈতন্যদের আদর্শ জীবন থেকে নৈতিক শিক্ষামূলক চিহ্নিত কর।
(ঘ) শ্রীচৈতন্যদেবের শিক্ষা তোমাদের জীবনে কীভাবে প্রয়োগ করবে? বিশ্লেষণ কর।
১০। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
কমল সব কাজেই অবমাননা হয়ে শুধু মায়ের কথা ভাবেন। কমলের মাতৃভক্তি দেখে গ্রামের লোকজন তুলনা করতে লাগালো মা কালীর সাধকের সাথে।
(ক) সৃষ্টির দেবতা কে?
(খ) দেবরাজ ঈন্দ্র ক্ষেপে গেলেন কেন?
(গ) উদ্দীপকে কমলকে কেন গ্রামবাসী মা কালীর সাধকের সাথে তুলনা করেছেন? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উক্ত সাধকের প্রতিভাশক্তি বিশ্লেষণ কর।
১১। নিচের উদ্দিপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
রিপনের মা রিপনের এমন একজন মহামানবের কথা বললেন তিনি অবসর পেলেই বট গাছের নিচে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। তার প্রকৃতি নাম ছিল জগৎ। তিনি সাঁওতাল, বাগদী ও মহাপুরুষের অস্পৃশ্য মনে করতেন না। তিনি বলতেন, বৃথা বাক্য ব্যয় দুভার্গ্য। রিপন এ কথা শুনে অতিরিক্ত কথা না বলার শিক্ষা পেল।
(ক) রামপ্রসাদের গ্রামের নাম কী?
(খ) কেন রামপ্রসাদ সংসার সুখী হলেন না?
(গ) উদ্দীপকে কোন মহাপুরুষের পরিচয় পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সাধক রামপ্রসাদের জীবনী থেকে কি শিক্ষা লাভ করবে? বিশ্লেষণ কর।
1 Comments
সপ্তম শেণির অধ বাষিক পরিক্ষা
ReplyDelete